গানের শিরোনামঃ তিনি বৃদ্ধ হলেন
গীতিকার, সুরকার, গায়কঃ কবির সুমন
...............................................
তিনি বৃদ্ধ হলেন, বৃদ্ধ হলেন
বনস্পতির ছায়া দিলেন, সারাজীবন ।।
এই বুড়ো গাছের পাতায় পাতায়
সবুজ কিন্তু আজও মাতায় সুঠাম ডালে
ডালই বলো, ভাতই বলো
গান বাজে তার গেরস্থালির তালে তালে
ওহে, ও গেরস্থ ভীষণ ব্যাস্ত
একটু ভালো চা পাওয়া যায়, কোন দোকানে
ওহে সবজিওয়ালাই বন্ধু তোমার
সবুজ বেচা মানুষ আসে তোমার টানে
ওহে প্রতিদিনের বাজার যাওয়া
থলি হাতে কেটে গেল সারাজীবন
তিনি বৃদ্ধ হলেন, বৃদ্ধ হলেন
বনস্পতির ছায়া দিলেন, সারাজীবন
ছিলো ছেলেবেলার রাম ঠ্যাঙানি
কথায় কথায় চোখ রাঙানি নানা কারণ
ছিল ইংরেজি বই পড়তে বসা
দুপুর বেলায় অংক কষা, খেলা বারণ
ছিল রেওয়াজ বিনে রামবকুনি
তানপুরারও ধুকপুকুনি, চারটি তারে
সেই বকুনিটাও গানের জন্য
সাপাট তানের মতই বন্য, বারে বারে
দম ঘুরানো কলের গানে
দম ঘুরানো কলের গানে
ছেলেবেলার আকাশ পানে, বড়ে গোলাম
আকতারি বাঈ তাঁরই পাশে
গানকে যারা ভালোবাসে, তাদের সেলাম
ছিল দিলীপ কুমার রায়ের কন্ঠ
ছিল দিলীপ কুমার রায়ের কন্ঠ
সমস্ত সুর হন্ত দন্ত, হারমোনিয়াম
মেনুহিনের বেহালার
আমীর খানের কন্ঠ অপার, তোমায় সেলাম
ছিল কলাম্বিয়ার বাঘের ছাপ্পা
ছিল কলাম্বিয়ার বাঘের ছাপ্পা
কুকুর শোনে বাংলা টপ্পা, চোঙামুখে
ছিল পঙ্কজ মল্লিকের গলা
অন্ধকারে একলা চলা, মনের সুখে
ছিল রোবসন আর ভোল্গা নদী
ছিল রবসন আর ভোল্গা নদী
গুণ টেনে যায় নিরবধি, রুশকি মাঝি
ছিলো বেটোভেনের সোনাটা
আর সালাম নাজাকাতের কন্ঠে আতশবাজি
ছিল নির্মলেন্দু চৌধুরী
ছিল নির্মলেন্দু চৌধুরী, তার
গলার আওয়াজ মুক্ত দেদার, নদীর মত
ছিল পান্নালালের শান্ত মিঠে
গলায় বুকে বাস্তুভিটে, শান্তি পেতো
এই বনস্পতির ছায়ায় বসে
শুনেছি গান দেঁড়ে ক'ষে, পরম পাওয়া
এই বনস্পতি গান শেখালো
তরঙ্গতে এলোমেলো, নৌকো বাওয়া
দেখো বইছে এখন বয়সকালে
পাতায় পাতায় এবং ডালে, কালের ওজন
তিনি বৃদ্ধ হলেন, বৃদ্ধ হলেন
আমায় ছেড়ে বুড়ো হলেন, আমার সুজন
গীতিকার, সুরকার, গায়কঃ কবির সুমন
...............................................
তিনি বৃদ্ধ হলেন, বৃদ্ধ হলেন
বনস্পতির ছায়া দিলেন, সারাজীবন ।।
এই বুড়ো গাছের পাতায় পাতায়
সবুজ কিন্তু আজও মাতায় সুঠাম ডালে
ডালই বলো, ভাতই বলো
গান বাজে তার গেরস্থালির তালে তালে
ওহে, ও গেরস্থ ভীষণ ব্যাস্ত
একটু ভালো চা পাওয়া যায়, কোন দোকানে
ওহে সবজিওয়ালাই বন্ধু তোমার
সবুজ বেচা মানুষ আসে তোমার টানে
ওহে প্রতিদিনের বাজার যাওয়া
থলি হাতে কেটে গেল সারাজীবন
তিনি বৃদ্ধ হলেন, বৃদ্ধ হলেন
বনস্পতির ছায়া দিলেন, সারাজীবন
ছিলো ছেলেবেলার রাম ঠ্যাঙানি
কথায় কথায় চোখ রাঙানি নানা কারণ
ছিল ইংরেজি বই পড়তে বসা
দুপুর বেলায় অংক কষা, খেলা বারণ
ছিল রেওয়াজ বিনে রামবকুনি
তানপুরারও ধুকপুকুনি, চারটি তারে
সেই বকুনিটাও গানের জন্য
সাপাট তানের মতই বন্য, বারে বারে
দম ঘুরানো কলের গানে
দম ঘুরানো কলের গানে
ছেলেবেলার আকাশ পানে, বড়ে গোলাম
আকতারি বাঈ তাঁরই পাশে
গানকে যারা ভালোবাসে, তাদের সেলাম
ছিল দিলীপ কুমার রায়ের কন্ঠ
ছিল দিলীপ কুমার রায়ের কন্ঠ
সমস্ত সুর হন্ত দন্ত, হারমোনিয়াম
মেনুহিনের বেহালার
আমীর খানের কন্ঠ অপার, তোমায় সেলাম
ছিল কলাম্বিয়ার বাঘের ছাপ্পা
ছিল কলাম্বিয়ার বাঘের ছাপ্পা
কুকুর শোনে বাংলা টপ্পা, চোঙামুখে
ছিল পঙ্কজ মল্লিকের গলা
অন্ধকারে একলা চলা, মনের সুখে
ছিল রোবসন আর ভোল্গা নদী
ছিল রবসন আর ভোল্গা নদী
গুণ টেনে যায় নিরবধি, রুশকি মাঝি
ছিলো বেটোভেনের সোনাটা
আর সালাম নাজাকাতের কন্ঠে আতশবাজি
ছিল নির্মলেন্দু চৌধুরী
ছিল নির্মলেন্দু চৌধুরী, তার
গলার আওয়াজ মুক্ত দেদার, নদীর মত
ছিল পান্নালালের শান্ত মিঠে
গলায় বুকে বাস্তুভিটে, শান্তি পেতো
এই বনস্পতির ছায়ায় বসে
শুনেছি গান দেঁড়ে ক'ষে, পরম পাওয়া
এই বনস্পতি গান শেখালো
তরঙ্গতে এলোমেলো, নৌকো বাওয়া
দেখো বইছে এখন বয়সকালে
পাতায় পাতায় এবং ডালে, কালের ওজন
তিনি বৃদ্ধ হলেন, বৃদ্ধ হলেন
আমায় ছেড়ে বুড়ো হলেন, আমার সুজন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন